চলছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সাউদ সাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সাদমান ইসলাম করেন ৯৩ রান। ফিফটি তুলে ফিফটি করেন লিটন দাস ও মুমিনুল।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। যা পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১১৭ রান বেশি। আজ ম্যাচের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশকে লিডের দিকে নিয়ে গেছে মুশফিকুর রহিম–মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। সপ্তম উইকেটে ১৯৬ রানের জুটি গড়ার পথে ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুশফিক, যদিও ১৯১ রানে থামতে হয়েছে তাঁকে। মিরাজের সম্ভাবনা ছিল সেঞ্চুরির, তিনি থেমেছেন ৭৭ রানে।
শেষ দিকে শরীফুল ইসলাম ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংস খেললে বাংলাদেশের সংগ্রহ সাড়ে পাঁচ শ পার হয়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। আর ২টি করে উইকেট শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম ফিরিয়েছেন সাইম আইয়ুবকে। শরীফুলের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন সাইম। ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরা সাইম দলকে ৫ রানে রেখে আউট হয়েছেন। ১ উইকেটে ২৩ রান তুলো ৪র্থ দিন শেষ করলো পাকিস্তান। পাকিস্তান বাংলাদেশের থেকে এখনো পিছিয়ে ৯৪ রানে।
এই দিন বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাস গড়েন মুশফিক। বাংলাদেশ টেস্ট স্টাটাস পেয়েছে ২০০০ সালে। এই ২৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মুশফিকই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি টেস্টে ৬ বারের বেশী ১৫০+ রান করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ম টেস্ট ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ১৯১ রান করে আউট হয়েছেন।