আজ সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখো পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। দারুন বল করতে থাকে বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারীত ৫০ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তামিম, মুশফিক, মিরাজ ও রিশাদ হোসেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ফলে ২-১ সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ২৩৭ তুলো জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ।
সৌম্য সরকারের কনকাশন হিসেবে নেমে দারুন একটা ইনিংস খেলেন তরুন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিং খেলেন এই ব্যাটার। যা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এরপর কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে মিরাজ ও রিশাদকে নিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মুশফিক। ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন মুশফিক।
৪০ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। শেষ দিকে ব্যাটিং ঝড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিশাদ হোসেন। ৫টি চার ৪টি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন জিনাথ লিয়ানগ। ১০২ বলে ১০১ রান করেন তিনি। বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন লাহেরু কুমার ও হাসারাঙ্গা। লাহেরু ৪টি ও হাসারাঙ্গা নেন ২টি উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন তাসকিন, মুস্তাফিজ ও মিরাজ। তাসকিন ৩টি, মুস্তাফিজ ২টি ও মিরাজ ২টি উইকেট নেন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ রিশাদ:
শেষ ম্যাচে সুযোগ পেলেন প্রথমবার। প্রথম বলেই উইকেট। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। রিশাদ হোসেন হয়েছেন ম্যাচসেরা। আলহামদুলিল্লাহ। শেষ করে আসতে পেরেছি। মুশফিক বলছিলেন, “জোনে পেলে মেরে দাও। সমস্যা নাই।”
সিরিজ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত:
সিরিজ জয়ের ট্রফি নেওয়ার আগে সিরিজসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।