বিসিবি বিভিন্ন পদে বড় ধরনের পুনর্গঠন করেছে। শুধু ব্যবস্থাপনায় নয়, জাতীয় দলের অধিনায়কেও এসেছে পরিবর্তন। এতক্ষণে সবাই এই বিষয়গুলো জেনে গেছে। তবে নতুনরা দায়িত্ব নেওয়ার পর চ্যালেঞ্জটা কেমন হবে সেটাই দেখার বিষয়।
আগামীকাল নতুন জুরি আছে, প্রধান নির্বাচক বলছেন, আশার পথ যেমন খোলা আছে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে তার জন্য যাওয়ার পথও খোলা থাকবে। তাই আপনার দুজন নতুন সতীর্থ আছে এবং প্রধান নির্বাচকই প্রথম এই কথাগুলো বলছেন। তাহলে সামনের দিনগুলি আপনার জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে: “এই দায়িত্ব এতটাই চাহিদাপূর্ণ যে এটি কথায় বা না বললে কঠিন হবে। সবাই জানে এটি একটি কৃতজ্ঞতাহীন কাজ এবং কেন নয় এবং কেন নয় এই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখনও একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। তাই কেউ লিপুকে বলা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ যে তারা যদি মজা করতে না পারে, যদি তারা ভালোভাবে উন্নতি করতে না পারে, তাহলে হয়তো তারা সেখানে থাকবে না।”
সাকিব আসলে কিছু সমস্যা বোধ করছেন তিনি নিজেই জানিয়েছেন। সাধারণত কোনও প্লেয়ার ফিট পুরোপুরি ফিট না হলে বা ইনজুর হলে আপনারা বিভিন্ন লিগে তাঁদের নিয়ে কিছু দিক নির্দেশনা দেন। সাকিব আসলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলছেন না। কিন্তু তিনি বিপিএল খেলছেন। আপনি কি ফ্রাঞ্চাইজি কাছে কোনও পরামর্শ দিয়েছেন কিনা? “এটা মেডিক্যাল টিমের ব্যাপার ওর যে অসুস্থতা এটা আসলে মেডিকেল টিম ভালো ডিসিশন নেবে ৷ আমাদের কাছে হচ্ছে যে রিপোর্টটা যা আসবে ওইটার উপর বেস করে আমরা করবো। তার পরের স্টেপ গুলো আসলে একেক সেক্টরের একেক ডিসিশন”
সাকিবের না থাকাটা কি ইনজুরির সমস্যা নাকি অন্য কিছু রয়েছে? দল টা আপনাদের কাছে কেমন মনে হয়েছে “সাকিবের ব্যাপারটা হচ্ছে ডেফিনিটলি ওর ইনজুরি ওর আর ছুটি চাওয়ার ব্যাপারটা আসলে মেনলি হচ্ছে ইনজুরির কারণে যে সময় নিচ্ছে ও বেটার ট্রিটমেন্ট করবে খুব সম্ভবত।”
ব্যাপারটা কেমন সে ছুটি চেয়েছে নাকি আপনার করেন যে চোখের সমস্যা আসলে তাঁকে রেখে দল ঘোষণা করেছেন “এটা আসলে কি হয়? অ্যাটমুসফেয়ার টা এই ভাবে তৈরি হয়েছে কারণ ওর এরকম প্রবলেম চলছে মেডিক্যাল টিমের যে কথা সাকিবের যে চাওয়া আমরা আসলে সেটার সাথে গিয়েছি।”
আসলে টেস্ট সিরিজে কিছু ভাবনা ছিল টিম তৈরি করার পিছনে আপনাদের একটা চিন্-ভাবনা ছিল বা দলে কিছু পরিবর্তন আছে সবকিছু মিলিয়ে আপনার মতামত এটা বলেন, “প্রথম চিন্তা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ তো আমরা চাই যে শ্রীলঙ্কার সাথে জিততে চায় এটা প্রথম চিন্তা । আর যেহেতু টি 20 ওয়ার্ল্ড কাপ আছে ৷ তো টি ২০ টিমের সেখানে কিছুটা চিন্তা অবশ্যই করা দরকার আমাদের। কারণ যেহেতু আমাদের বিপিএল চলছে এখন এটা একটা মোক্ষম সময়ে আমার কাছে মনে হয় যে যদি কেউ ইনক্লিউশন থাকে বা কোনও এক্সক্লিউশন থাকে তো করা।”
যেহেতু রিয়াদ কে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হচ্ছে তা হলে কি সেটা বিশ্বকাপের জন্য,“ কেন্দ্রীয় চুক্তির সাথে কিন্তু কোনও টিমে চান্স পাওয়ার কোনও মিল নেই। কেন্দ্রীয় চুক্তি হচ্ছে আগের বছরটা দেখে কেন্দ্রীয় চুক্তি হয় তো আগের বছরে রিয়াদ তেমন টি 20 খেলেননি। আর এখন মনে হচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে ভালো খেলছে ভালো অবস্থায় আছে তো খুব স্বাভাবিক ভাবে ওকে রাখা হয়েছে। আরও যদি তারপরও ভালো খেলে তখনও ওয়ার্ল্ড কাপের জন্য থাকবে।
টি ২০-তে দলে অনেক পরিবর্তন দেখেছি আমরা নাঈম শেখ এসেছেন তাঁর ইনক্লুশন টা নিয়ে বলবেন এবং আমি মেহেদী মিরাজ কে কেন আসলে বিবেচনা করা হয়নি সেটাও, “ নাঈম শেখ আসলে বিপিএল খুব স্বাভাবিক ভাবে ও মানে লিডারবোর্ডে খুব ভালো অবস্থানে আছে, ভালো খেলছে ৷ আর মেহেদী মিরাজের জায়গা যেটা সেটা হচ্ছে দুইটা স্পিনার আসলে এই মুহূর্তে টি টোয়েন্টিতে একটি টিমের মধ্যে দুই অফস্পিনার রাখা একটু ডিফিকাল্ট। মেহেদি যেহেতু খুবই ভালো বোলিং করছে স্পেশ্যালি মেহেদি টি টোয়েন্টির জন্য আমাদেরও স্পেশালিস্ট মানে তো যে কারণে আর কি মেহেদি আছে, মিরাজ নেই। আলিস সে ভালো বোলিং করেছে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আনঅর্থডক্স তো আমরা দেখতে চাচ্ছি যে আসলে কেমন। যদিও দিলে ভাল হয় তাহলে টিমের জন্য একটা বেটার হতে পারে।”
এবার বিপিএলে কোনও প্লেয়ার চোখে পড়ছে কি না, “মিক্সআপ বিপিএল হচ্ছে আর কি আর খুব বিশাল কিছু না হলেও মোটামুটি এখন এই চিটাগাং পার্টে এসে বেশ ভাল কিছু দেখা যাচ্ছে। বোলাররা বেশ অনেকদিন ধরে মোটামুটি ভালো বোলিং করছে তো আমি একসেপশনাল কোনও কিছু না মিললেও একদম খারাপ হচ্ছে না।”
শান্তকে এই বছরের জন্য ক্যাপ্টেন ঘোষণা করা হয়েছে আপনাদের সঙ্গে মিশে কাজ করার আগে তার জন্য দল তৈরি করেছেন। কিন্তু দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকাটা কেমন হত? “তখন ক্যাপ্টেন ছিল না। ওকে ডিক্লিয়ার করা হয়নি। তার আগেই টিম ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে তো এই বারও ছিল না। এরপর থেকে অবশ্য ইনপুট থাকবে অবশ্যই ওর সঙ্গে কথা বলা হবে।”