কয়েকদিন আগে বিপিএল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জাতীয় কোচ একে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে বিপিএল দেখতে টিভি বন্ধ করে দেন। তবে কোচ হাথুরুর কথার সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, এবারের বিপিএলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় উন্নতি হয়েছে। রংপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিতে মুশফিকের মুখ থেকে ইতিবাচক বার্তা বেরিয়েছে। সহজ ভাষায় তিনি বলেন, বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির বিলাসিতাই অনেক ক্রিকেটারের জীবিকা।
“প্রথমত, যদি বিপিএল না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের পরিবার পরিচালনা করা আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। তিনি আরো বলে শুনলে খারাপ লাগলেও এটাই হবে ভাই। কেউ যদি জাতীয় দলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় হন এবং বিপিএলে বেতন পান, তাহলে হয়তো তিনি এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়,” বলেন মুশফিকুর। ২-৩ বছর খেলুন যদি এর মান খারাপ হয়, যেভাবেই হোক না কেন।কেউ চাইবে না এখানে এসে খারাপ খেলে পরের বছর আনসোল্ড থেকে টিভিতে বসে খেলা দেখবে।
বিপিএল মানেই বিতর্কের ভাণ্ডার। পিচ, ব্রডকাস্টিং এবং আয়োজন নিয়ে বিতর্ক লেগেই আছে। তবে এসবের মধ্যেও মুশফিক বরাবরই ইতিবাচক, ‘কোয়ালিটি অনেক উঁচুতে। হ্যাঁ এটা বলতে পারেন যে ১-২টা পিচ একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। এই বছর অনেক ভালো ছিল পিচ। খেলার কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়েছে আগের তুলনায়। যারা বলেছে তারা কোন মর্মে বলেছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন। বিপিএলের কোয়ালিটি বলেন সবকিছু উন্নত হয়েছে।’
তরুণদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিজ্ঞরাই এবারের বিপিএলে আলো ছড়িয়েছেন এমন কথাও শোনা গিয়েছে হরহামেশা। তবে মুশফিক করলেন দ্বিমত, ‘না, না। আপনার সাথে আমি একমত না। তারা অবশ্যই অনেক সামর্থ্যবান। তারা যদি সুযোগ পায়। যেমন হৃদয় সে কিন্তু জাতীয় দলে তিনে খেলে না। ৪,৫,৬ এও খেলে। কুমিল্লাতে তিনে খেলছে। সে তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। জুনিয়র তামিম ওপেন করছে।’
‘আমার মনে হয় সুযোগ দিলে তারাও সামর্থ্যবান এবারের বিপিএলেও অনেক দেশি আছে যারা ভালো ভালো ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছে। হ্যাঁ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা একটু কঠিন। যে অবদান রাখছে তা যেন দলের জয়ে হয়।’ যোগ করেন মুশফিক।