তামিমের ৩৫ তম জন্মদিনের আগে ঘটে গেলো আকস্মিক এক ঘটনা । বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ‘ফোনকল’ ফাঁস হয়েছে! তবে সেটি সাজানো নাটক কিনা, সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা ।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ‘চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার’ রয়েছে। এই আইনের কারণে অনুমতি ছাড়া ফোন আলাপ রেকর্ড করা এবং সেটি ফাঁস করা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু প্রায়ই আইন উপেক্ষা করে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা দেখা যায়। এবার এমনই একটি বিষয় সামনে এসেছে, যেখানে তিনজন ক্রিকেটারের নাম জড়িয়ে আছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তামিম-মিরাজের একটি ‘ফোনকলের’ রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব হয়। সেখানে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তামিম। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভাইরাল টপিকে পরিণত হয়। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে তামিম বলেন, এই বিষয়ে সন্ধ্যায় কথা বলবেন তিনি।
এ দিকে তামিম-মিরাজের ফোনকল নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, এটি সাজানো নাটক। একটি আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। তাতে জন্মদিনেই আরও বেশি সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তামিম। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন অভিজ্ঞ ও তারকা ক্রিকেটার হয়ে তামিম এই ধরণের সংবেদনশীল কাজে কীভাবে জড়াতে পারেন?
সাধারণত সিনেমা কিংবা নাটকের প্রচারের জন্য বিভিন্ন মেকি প্রচারণায় নামতে দেখা যায় অভিনেতা কিংবা নির্মাতাদের। বেশিরভাগ সময়ে সাধারণ মানুষ তাতে বিব্রতও হন। সমালোচনাও চলে ব্যাপক। একটি গোষ্ঠি মানুষের সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমকেই বেছে নেন।
এর আগে বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাম জড়িয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ভক্তরাও হতাশ হয়েছিলেন। পরে বিসিবির চাপে সেখান থেকে ফিরে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু ২২ গজের সেই তারকারা মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এমন ‘ফোনকল ফাঁসের’ প্রচারণা চালাবে, সেটি মানতে নারাজ ভক্তরা। গতকালের ছড়িয়ে পড়া ওই কথপোকথনের বিষয়ে এখনও মুখ খুলেননি তামিম-মিরাজ কিংবা মুশফিক। সন্ধ্যায় তামিমের কথাতেই হয়তো এই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।