ইতিমধ্যেই সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়েছে। একমাত্র ছেলে ইজহান কার সঙ্গে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই অনেক এ বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মতে, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত মা সানিয়ার সঙ্গে থাকতে পারবেন ইজহান।
ক্রীড়া জগতের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক। অবশেষে শনিবার এই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা প্রকাশ করেছেন যে ভারতীয় টেনিস সুন্দরী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে ‘ওপেন’ আইন মেনে ‘তালাক’ দিয়েছেন। কারণ শোয়েব ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে: পাঁচ বছরের ছেলে ইজহান আপাতত কার হবে?
কে পাবে ইজহানের হেফাজত?
এ ব্যাপারে সবাই জানেন যে, স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তাদের সন্তানদেরও আইনি হেফাজতে দেওয়া হয়। তবে এখানে ‘খুলা’ অনুযায়ী শোয়েব ‘তালাকপ্রাপ্ত’। খুলা সত্যিই একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়. স্বামী-স্ত্রী নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছায় আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে স্বামীকে ‘মেহর’ অর্থাৎ যৌতুক দিতে বাধ্য করা হয় না কিন্তু সন্তানের হেফাজতের ব্যাপারে কী কী নিয়ম আছে, সে সম্পর্কে বলি।
শিশুদের জন্য হেফাজতের নিয়ম কি?
হিন্দুধর্ম অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের পর আদালতে হেফাজতের মামলা করা হয়। এই আইনি প্রক্রিয়ার পরই বিচারক হেফাজতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আবারও মুসলিম ধর্মে শিশুদের হেফাজতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই আইন অনুযায়ী সন্তান ৭ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবে।
এরপর শিশুর মা সন্তানের দেখাশোনা করতে না পারলে বাবার হেফাজত হয়। নইলে সারাজীবন মায়ের এই অধিকার থাকে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম বড় নাম শোয়েব মালিক। জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি দেশ-বিদেশে প্রচুর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ক্রিকেটও খেলেছেন। আর এ কারণেই তাকে পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূত্রের মতে, শোয়েবের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে সানিয়াও টেনিস জগতে এক পরিচিত নাম। এই পরিস্থিতিতে শোয়েবের প্রথম স্ত্রীর থেকে অনেক বেশি কিছু পেতে পারেন সানিয়া বলে আশা করা যায়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।